নিউজ ডেস্ক : গত দুই কোরবানির ঈদে চামড়া কিনে বড় ধরনের লোকসান গুনেছেন মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীরা। এবার তাই দেখেশুনে চামড়া কেনার কথা ভাবছেন তারা।
মৌসুমী ব্যবসায়ীরা বলছেন, চলতি বছর চামড়ার ন্যায্য দাম পাওয়া না গেলে করোনা বিপর্যয়ের মধ্যে আবারো লোকসান গুণতে হবে। চামড়া বিক্রি না করে রাস্তায় ফেলে দিতে হবে।
জানা যায়, দেশের চাহিদার প্রায় ৮০ ভাগ চামড়া কোরবানি ঈদের সময় সংগ্রহ করেন ট্যানারি মালিকরা। তবে করোনার কারণে রপ্তানি করতে না পারায় গতবারের প্রায় ৫০ ভাগ চামড়া রয়ে গেছে গুদামে। এমন বাস্তবতায়, গতবারের চেয়ে ২০ থেকে ২৭ ভাগ কমিয়ে লবণযুক্ত কাঁচা চামড়ার দাম নির্ধারণ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। পোস্তার আড়ৎদাররা এই সিদ্ধান্তে খুশি।
করোনা পরিস্থিতিতে দাম কমানোর সিদ্ধান্তকে যৌক্তিক বলে মনে করছেন ট্যানারি মালিকদের সংগঠন বিএইচএসএমএ’র মহাসচিব টিপু সুলতান। তবে, মৌসুমী ব্যবসায়ীরা বলছেন ভিন্ন কথা।
মৌসুমী ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিএফএলএলএফইএ সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন বলেন, দাম অস্বাভাবিক কম হওয়ায় বিক্রি না করে এবারো চামড়া ফেলে দেবে মানুষ।
মৌসুমী ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা, ন্যায্য দাম নিশ্চিত না হলে পাচার হয়ে যেতে পারে চামড়া।